আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। এক মাস পবিত্র সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুইদিন অতিবাহিত হয়ে গেলো। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ঈদের এই দুইটি দিন পরিবার ও ইসলামী আন্দোলনের ভাইদের সাথে খুব ভালোভাবেই কাটানোর সুযোগ হয়েছে। এজন্য মহান রবের দরবারে আবারো শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ।
ঈদের ১ম দিনঃ রাজধানীর ভাটারার একটি মসজিদে সকাল ৮.০০টায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের সালাত আদায় করার মাধ্যমে দিনের শুরু। সালাত আদায়ের পূর্বে মসজিদ কমিটির অনুরোধে সমবেত মুসল্লীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখা হয়। এ সময় সাথে উপস্থিত ছিলেন ভাটারা থানা আমীর ইঞ্জিনিয়ার কামাল উদ্দিন আহমদ, থানা সেক্রেটারি রেজাউল করিমসহ থানার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ঈদের সালাত আদায় শেষে স্থানীয় নেতা, কর্মী, সমর্থক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে ঈদের কুশলাদি বিনিময় করা হয়। যেখানে সাথে পরিবারের সদস্য আব্দুল্লাহ আল-জারিফ সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলো।
এরপর বাসায় গিয়ে পরিবারের ছোট্ট সোনামণি জাহরাতুয জান্নাত ও আব্দুল্লাহ আল-জারিফসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করা হয়। যা সত্যিই এক আনন্দঘন মুহুর্ত ছিলো।
এছাড়াও ঈদের দিনে মোট ৩টি ফিজিক্যাল প্রোগ্রাম ও ৩টি ভার্চ্যুয়াল প্রোগ্রামে কথা বলার সুযোগ হয়েছে এবং নগরবাসীর সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার মাধ্যমে দিনটি ভালোই কেটেছে, আলহামদুলিল্লাহ।
ঈদের ২য় দিনঃ ঈদের দ্বিতীয় দিনে পরিবারের সদস্যদেরকে সাথে নিয়ে সময় অতিবাহিত করা হয়। সেক্ষেত্রে রাজধানীর বিভিন্ন সৌন্দর্যমন্ডিত স্থানগুলোতে ঘুরাঘুরি ও নির্মল আনন্দ উপভোগ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে- জাতীয় চিড়িয়াখানা, জাতীয় ভোটানিক্যাল গার্ডেন এবং তুরাগ নদীতে নৌকা ভ্রমণ। যা পরিবারের ছোট্ট সোনামণিদের খুবই আনন্দ দেয়। উল্লেখ্য আমাদের এই আনন্দময় সময়গুলোতে সাথে ছিলেন মিরপুর উত্তর থানার আমীর মনিরুল ইসলাম মৃধা ভাই, শাহ্আলী থানার আমীর ডা. মঈন উদ্দিন ভাই এবং অন্যান্যদের মধ্যে আরো ছিলেন, আনোয়ার ভাই, পাবেল ভাই, মোজাম্মেল ভাই, জহির ভাই, আলামীনসহ নেতৃবৃন্দ এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। আমাদের এই মিলন মেলায় মোট ৪টি পরিবারের সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করে। যেখানে প্রত্যেক পরিবারের ছোট্ট সোনামণিরা উপস্থিত ছিলো। এটা একটা অনন্য দিন হিসেবে অতিবাহিত হয়। আমরা আশা করি আমাদের পরিবারগুলো জান্নাতি পরিবার হবে এবং পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য জান্নাতি মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ্। সেক্ষেত্রে অবশ্যই পরিবারের লোকদেরকে আমাদের আরো সময় দিতে হবে। সেই লক্ষ্য থেকেই ঈদের দ্বিতীয় দিনে পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে আরো ৩টি পরিবারসহ মোট ৪টি পরিবার একসাথে হয়ে আমাদের পুরো দিন অতিবাহিত হয়। যা সত্যিই একটি স্মরণীয় দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

বিশেষ করে মিরপুর উত্তর থানা ও শাহ্আলী থানার দায়িত্বশীল ও জনশক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি। দিনব্যাপী তারা যে আন্তরিকতা ও ভালোবাসা দিয়ে আমাদেরকে বরণ করেছেন, আতিথিয়েতা করেছেন এবং তাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদেরকে ধন্য করেছেন এজন্য মহান আল্লাহর দরবারে তাদের জন্য উত্তম জাযা কামনা করছি। আমাদের এই আন্তরিকতা ও ভালোবাসা যেন স্থায়ী হয় এবং জান্নাতেও যেন আমরা একে অন্যকে পাশে পেতে পারি আল্লাহ্ তা’য়ালা যেন আমাদেরকে সেভাবেই কবুল করেন। আমরা গোটা ইসলামী আন্দোলনের পরিবারকে এভাবেই ভালোবাসবো এবং একে অন্যের আন্তরিক কল্যাণ কামনা করবো, এটাই হোক প্রত্যাশা। উল্লেখ্য সকলেই আমাদের জন্য কষ্ট করেছেন বিশেষ করে জহির ভাই ও আলামীন ভাই খুব বেশি কষ্ট করেছেন। আল্লাহ্ তায়ালা এজন্য তাদেরকে উত্তম জাযা দান করুন।

আমরা ইসলামী আন্দোলনের সর্বস্তরের ভাইয়েরা, আমাদের শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের পরিবারকে বা আমাদের ছোট্ট সোনামণিদেরকে আমরা যেন ভুলে না যাই। তাদেরকে আমরা নির্মল আনন্দ দেওয়ার জন্য তাদের সাথে আমরা সময় দিব। এই প্রত্যাশা সকলের কাছে থাকলো।

এছাড়াও ঈদের দ্বিতীয় দিনে পরিবারকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি মোট ৪টি ভার্চ্যুয়ালী প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা ও বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। প্রোগ্রামগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ঈদ পুনর্মিলনী, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় আইনজীবী সম্মেলন এবং সিলেটের ২টি ঈদ পুনর্মিলনী। এই ৪টি ভার্চ্যুয়াল প্রোগ্রামের পাশাপাশি অত্যন্ত ভালো লেগেছে যে, ফ্যামিলিকে ডে-লং সময় দিতে পেরেছি, এজন্য মহান মা’বুদের দরবারে কায়মনোবাক্যে আবারো শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ।
মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের এই সময়গুলোকে কবুল করুন। আমীন।।