রাজধানীর ভাটারার একটি জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের সালাত আদায় করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জননেতা জনাব মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
সকাল ৮.০০টায় ঈদুল ফিতরের সালাত অনুষ্ঠিত হয়। সালাতের পূর্বে সমবেত মুসল্লীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন মহানগরী আমীর জনাব সেলিম উদ্দিন। এ সময় মহানগরী আমীরের সাথে উপস্থিত ছিলেন ভাটারা থানা আমীর ইঞ্জিনিয়ার কামাল উদ্দিন আহমদ, থানা সেক্রেটারি মোঃ রেজাউল করিম ও থানার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

বক্তব্যে জনাব সেলিম উদ্দিন বলেন, এক মাস পবিত্র সিয়াম-সাধনার পর আমাদের মাঝে উপস্থিত পবিত্র ঈদুল ফিতর। ইসলামের অনুসারীগণ সিয়াম-সাধনা এবং ত্যাগের মধ্য দিয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ, অতীতের ভুল-ভ্রান্তির ক্ষমা চেয়ে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে চলার অঙ্গীকারে প্রত্যয়ী হওয়ার এক সফল অনুষ্ঠান এ পবিত্র ঈদ। ঈদকে কেবল ধর্মীয় কিংবা সামাজিক উৎসব হিসেবে বিবেচনা করা হয় না বরং ঈদ সার্বজনীন আনন্দের নাম। প্রত্যেক ধর্মেই রয়েছে বিশেষ কিছু উৎসবমুখর দিন। সেই উৎসবগুলোও মানুষকে আনন্দে দেয়। তবে মুসলিমদের ঈদ সম্পূর্ণ ব্যক্তিক্রম।
তিনি বলেন, ঈদ শুধু মানুষকে আনন্দই দেয় না, এখানে সকল ব্যবধান ঘুচিয়ে মানুষকে এক করে। ঈদের জামায়াতে যাওয়ার পূর্বেই ফিতরা প্রদানের মাধ্যমে দয়া, মায়া ও ভালোবাসার যে প্রকাশ ঘটে তা সত্যিই অনন্য। ঈদের দিন যেভাবে ধনী-গরিব ভেদাভেদ ভুলে যায়, এক কাতারে সবাই সালাত আদায় করি, সবার সাথে হাসি মুখে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করি, ঠিক তেমনিভাবে সারাবছর একই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে আর বিভেদের সকল দেয়ালকে ভেঙ্গে ফেলতে হবে।

মহানগরী আমীর বলেন, ঈদ আমাদেরকে একতা, ঐক্য, বড় ও মহৎ হতে শেখায়। ঈদের আনন্দে দল-মত নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষের সাথে ভাগ করার মাঝেই সর্বাঙ্গীন কল্যাণ। ঈদুল ফিতর সাম্য, মৈত্রী, ঐক্য এবং ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধ শিক্ষা দেয়। এভাবে ঈদুল ফিতরের উৎসব ইসলামী জীবন পদ্ধতির ভিত্তিতে একটি বিশ্বজনীন নীতির ওপর গুরুত্বারোপ করে থাকে। এ আনন্দের দিনে প্রতিটি মুসলিম তার সামাজিক অবস্থান ভুলে যায় এবং ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপ্রেরণায় একে অপরকে আলিঙ্গন করে। পার্থক্য থাকে না ধনী-দরিদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, সবল-দুর্বল, বংশ গৌরব, কৌলিন্য ও মান-মর্যাদা। ঈদগাহে সারিবদ্ধভাবে জামাতের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের দু’ই রাকাত ওয়াজিব নামায আদায়ের মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষেই সাম্যের অতুলনীয় বাস্তব দৃশ্যের চিত্র ফুটে ওঠে।

ঈদের সালাত আদায় শেষে মহানগরী আমীর স্থানীয় নেতা-কর্মী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে ঈদের কুশলাদি বিনিময় করেন।