গত ৫০ বছরে জনগণ কাঙ্ক্ষিত মানের উন্নয়ন পায়নি। অথচ উন্নয়নের গল্প বলা হয় প্রচুর। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে জনগণ জামায়াতে ইসলামীকেই একমাত্র যোগ্য বলে মনে করে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহি পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি আজ মোলভিবাজার জেলা, কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের নয়াগাও গ্রামে অনুষ্টিত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দিনের ভোট রাতে চুরি করে ক্ষমতায় এসে এখন আবার তারা ইভিএমের মাধ্যমে জনগনের ভোট লুন্ঠনের আরেকটি চক্রান্ত করছে। তাদের এই চক্রান্ত সফল হবে না ইনশাআল্লাহ। কারণ জনগনের সহ্যের একটা সীমা আছে।

সেলিম উদ্দিন বলেন, আমি অনেক দেশ ভ্রমন করেছি । কিন্তু এত সুন্দর একটি দেশ কোথাও নেই। কিন্তু দেশটা যারা শাসন করেছে এবং করছে তাদের মধ্যে সততার অভাব রয়েছে। তারা ঠান্ডা মাথায় জনগনের জন্য কল্যাণকর কিছু করবে তা করছে না। তারা শুধু ক্ষমতায় থাকা অথবা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যা করার তাই করছে।
তিনি বলেন,তারা নিজের দল এবং নিজের গোষ্ঠীকে বড় করতে ব্যস্ত। আর বিরোধীদলকে দেখলেই পিটায়। আমাদেরকে তো রাস্তায় দাঁড়াতেই দেয় না। কথা বলতে দেয় না। কারণ কথা বলতে দিলে তো তাদের থলির বিড়াল বেরিয়ে আসবে।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হেলিকপ্টারে চড়ে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের খোঁজ নেয়া যায় না। ২শ কোটি টাকা খরচ করে উৎসব করলেন। আর বন্যার্তদের জন্য যা দিলেন এটা জনগনের সাথে তামাশা নয় কি? মূলত জনগনের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই।
তিনি বলেন, আমাদের পার্শবর্তী দেশ পাকিস্তান এবং শ্রীলংকায় যা ঘটছে আমাদের দেশেও তার আশঙ্কা করছেন অনেকে। আমরা আমাদের দেশের অকল্যাণ চাই না।আমরা শুধু বলব সময় থাকতে সময়াপযোগী সিদ্ধান্ত নিন।
আরো উপস্থিত ছিলেন ফেন্চুগন্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ্ আল হোসাইন, গোলাপগন্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাফেজ নাজমুল ইসলাম, কুলাইড়া উপজেলা জামায়াতের বর্তমান ও সাবেক আমির যথাক্রমে জনাব আব্দুল হামিদ খান ও খন্দকার আব্দুস সোবহান, উপজেলা সেক্রেটারি আব্দুল মুন্তাজিম গোলাপগন্জ পৌর আমির মাওলানা আব্দুল খালিক, রেজানুর রহমান ইফতেখার, কাজী জসিমউদ্দীন হাফেজ তাজুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল করিম, জহিরউদ্দীন নজরুল ইসলাম সুজন প্রমুখ।