বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে গোষ্ঠী বিশেষ বস্তিবাসীর ওপর অত্যাচার চালিয়ে এসেছে। সে ধারাবাহিকতায় কড়াইল বস্তিতে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এসব অগ্নিকাণ্ড কোনো দুর্ঘটনা নয় বরং সবগুলোর ছিল রহস্যজনক। তিনি অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান। ব্যর্থতায় সরকারের কার্যকারিতাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।
তিনি আজ ভোরে রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। মহানগরী আমীর অগ্নিদূর্গত এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে একান্তে কথা বলেন। তিনি তাদের ক্ষয়ক্ষতি ও সমস্যার কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং জামায়াতের পক্ষ থেকে সম্ভব সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ সময় মহানগরী আমাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ইয়াছিন আরাফাত, গুলশান পশ্চিম থানা আমীর মাহমুদুর রহমান আজাদ,থানা কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, গণমানুষের সকল সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু দেশে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না থাকায় নাগরিকরা রাষ্ট্রের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জামায়াত একটি গণমুখী ও কল্যাণকামী রাজনৈতিক দল হিসাবে দেশ ও জাতির যেকোনো ক্রান্তিকালে অসহায় ও দুর্গত মানুষের পাশে থাকার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের পরও আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে এগিয়ে এগিয়ে এসেছি। আমরা সাধ্যমতো দুর্গতদের পুনর্বাসনেরও চেষ্টা করবো। গণমানুষের জন্য আমাদের এই কল্যাণকামীতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। তিনি অগ্নিদূর্গতদের পাশে দাঁড়াতে সকল রাজনৈতিক দল সহ সমাজের সামর্থ্যবান মানুষদের খোলা মন নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি মানুষের জন্য’ একথা বলেই রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব শেষ করলে চলবে না বরং তা বাস্তবে প্রমাণ করতে হবে। কোন রাজনৈতিক দল মানুষের জন্য কল্যাণকামী সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখা উচিত। যারা কথা ও কাজের মধ্যে মিল রাখেন না তারা অবশ্যই ধোঁকাবাজ। তাই ধোঁকাবাজদের সম্পর্কে সকলকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। জামায়াত কথায় নয় বরং কাজে বিশ্বাসী। আমরা অগ্নিদূর্গতদের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেবো এবং তাদের জন্য গৃহনির্মাণের চিন্তাও আমাদের রয়েছে। যাতে তারা বস্তি ছেড়ে স্বস্তিদায়ক পরিবেশে জীবন অতিবাহিত করতে পারেন।
তিনি সুখী, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে জামায়াতে হাতকে শক্তিশালী করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।