বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ভ্রমণ মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং মানুষের মধ্যে অনুসন্ধিৎসা সৃষ্টি করে। তাই সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ও আল্লাহর একত্ববাদ এবং পরাক্রম সম্পর্কে যথাযথ উপলদ্ধির জন্য শিক্ষা সফরের গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আসমান ও যমীনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও তোমাদের বর্ণের ভিন্নতা। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য’। (সুরা আর রূম আয়াত-২২) তাই মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা এবং ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মানব সভ্যতার উত্থান-পতন থেকে শিক্ষা নিতে পরিমিত সফরের কোন বিকল্প নেই। তিনি দ্বীনের দাওয়াত সম্প্রসারণে ভ্রমণ পিয়াসীদের মেধা, শ্রম ও সময় যথাযথভাবে কাজে লাগানোর আহবান জানান।
তিনি আজ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের রামপুরা থানা আয়োজিত এক শিক্ষা সফরকালীন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিশে শুরা সদস্য ডা. ফখরুদ্দিন মানিকের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি এফ এ ফজলুর পরিচালালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য নাজিম উদ্দীন মোল্লা, খিলগাঁও থানা আমীর সগীর বিন সাঈদ, রামপুরা থানার নায়েবে আমীর এইচ ঈমাম, তেজগাঁও থানার নায়েবে আমীর শেখ এন করিম, শিবিরের ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি সোহেল রানা মিঠু, সাংগঠনিক সেক্রেটারি হাফিজুর রহমান, শ্রমিক নেতা প্রফেসর এ হালিম, পেশাজীবী নেতা আব্দুল মালেক পাটোয়ারী, জামায়াত নেতা মনিরুজ্জামান শামীম, এ এস ফরহাদ, এস এম মনিরুজ্জামান, মাওলানা এস ইসলাম, মাওলানা আব্দুল লতিফ, আবুল হাসনাত পাটোয়ারী, জেড এ স্বাধীন, এইচ রহমান, মোবারক হোসেন, আশরাফুল আলম, মাওলানা দলিল উদ্দীন, জালাল রহমান, মাওলানা জাকির হোসেন, সাইফুল আলম, এ কে সোহেল, জাকারিয়া বুলবুল ও গিয়াস উদ্দীন প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, মূলত সফর ছাড়া মানুষের জ্ঞানের পরিপূর্ণতা আসে না। আর আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের শ্রেষ্ঠত্ব ও মহাত্ব সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান অর্জিত হয় ভ্রমণের মাধ্যমেই। রাসুল (স.) জ্ঞান অন্বেষণের জন্য ভ্রমণের প্রতি মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করেছেন এবং তিনি নিজেও বিভিন্ন সময় সফরে যেতেন। এ প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জ্ঞান অন্বেষণে রাস্তায় বের হবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে যাওয়ার পথ সহজ করে দেবেন।’ তাই ব্যক্তিত্বের বিকাশ ও জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির জন্যই আমাদেরকে মাঝে মাঝে সফরের আয়োজন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের অপশাসন দুঃশাসনের কারণেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। সঙ্গত কারণেই সৃজনশীল, গণমানুষের জন্য কল্যাণকামী ও সমাজহিতৈষী মানুষদের পক্ষে ইতিবাচক কোন কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকার সৃজনশীল কাজে প্রণোদনা না দিয়ে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই সাবেক আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ জনপ্রিয় জাতীয় নেতাদের একের পর এক হত্যা করে দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। সরকারের জিঘাংসার শিকার হয়েই আমীরে জামায়াত মকবুল আহমাদ, নায়েবে আমীর অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার, সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য নূরুল ইসলাম বুলবুল সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন। তিনি সরকারকে নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে আমীরে জামায়াত সহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি দাবি করেন।