জননেতা মাওলানা আব্দুস সোবহান কারাগারে মারাত্নক অসুস্থ জীবন কাটাচ্ছেন। ২০ সেপ্টেম্বর কারাগারে তার ৭ বছর পূর্ণ হবে। ইতোমধ্যে তার বয়স ৯০ বছর পার হয়েছে। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী এই মজলুম ব্যক্তিটি বৃদ্ধ বয়সে বর্ণনাতিত কষ্ট করছেন। মহান আল্লাহ নিশ্চয় এর উত্তম প্রতিদান দেবেন।
মাওলানা আব্দুস সোবহান জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান নায়েবে আমীর। ইতিপূর্বে পাবনা জেলা আমীর ছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাবনা-৫ আসন থেকে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হন। এছাড়া ১৯৬২ এবং ১৯৬৫ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান গণপরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন।
জননেতা আব্দুস সোবহান অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। কামিল পরীক্ষায় ১৯৫৪ সালে মাদ্রাসা বোর্ডে তিনি সপ্তম হয়েছিলেন। গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে (১৯৫২-৬২) কৃতিত্বের সাথে বিভিন্ন মাদরাসায় শিক্ষকতা করেছেন। অবশ্য তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
তিনি পাবনার বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ট্রাস্ট, হাসপাতাল, ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজে তিনি যে অসমান্য অবদান রেখেছেন বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া সেটাই প্রমান করে। এ বছর সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়নে পাবনার সবচেয়ে বড়, আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন মসজিদে তাকওয়া নির্মাণ করেছেন।
জামায়াতে ইসলামী করার কারণে হয়রানির উদ্দেশ্যে ২০১২ সালে তাকে গ্রেফতার করে যুদ্ধপরাধের বিচারের সম্মুখীন করা হয়। ঢাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার অভিযোগ করেছিল তিনি নাকি পালিয়ে যাচ্ছিলেন! সিভিলিয়ান ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যুদ্ধপরাধের বিচার বাংলাদেশের জনগণ মেনে নিতে পারেনি।
বয়োবৃদ্ধ এই অসুস্থ মানুষটি কারাগারের বাথরুমে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন। কিন্তু যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসা পাননি। সরকারের এমন রুঢ় আচরণ সত্যিই আশ্চর্যজনক! আমি মাওলানার সুচিকিৎসার জোর দাবি জানাচ্ছি। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা আন্যায় মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান করছি।
মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি, জননেতা মাওলানা আব্দুস সোবহান ও তার পরিবারের কষ্ট দূর করে দিন। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে উত্তম প্রতিদান দিন। আমীন