রাজধানীসহ সারাদেশে এবার ডেঙ্গু জ্বর রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অত্যাধিক।
এখনো পর্যন্ত আক্রান্ত ১৫ হাজারেরও বেশি আর মৃতের সংখ্যা ৫৩ জন (প্রথম আলো, ৩১ জুলাই)। প্রতিদিন প্রচুর ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভীড় করছেন। তিল পরিমাণ ঠাই নেই অবস্থা!
ডেঙ্গু জ্বর এডিস মশার কামড়ে (দংশন) হয়। এই মশা বর্ষাকালে পরিস্কার পানিতে ডিম পেড়ে বংশ বিস্তার করে। এখন শ্রাবণ মাস। আষাঢ় শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল। সুতরাং হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর বহর দেখে সহজেই অনুমেয় এডিস মশারা আরামেই ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।
একথা বলতেই হয় নাগরিক হিসেবে আমরা সচেতন নই, আর কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিতে আকুণ্ঠ নিমজ্জিত। মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তার রোধে আমরা সবাই ব্যর্থ। সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব হচ্ছে শহর পরিচ্ছন্ন রাখা। আইসিডিডিআরবির গবেষণা রিপোর্ট বলছে সিটি কর্পোরেশনের ওষুধ অকার্যকর। সিটি করপোরেশন এর প্রতিবাদ করলেও ডেঙ্গুর মহামারি সে কথাই প্রমাণ করে।
সিটি কর্পোরেশন না হয় শহর পরিচ্ছন্ন রাখলো কিন্তু ঘরের ভেতর পরিস্কার রাখার দায়িত্ব বাসিন্দাদেরই। কেননা বাসা-বাড়ির ফুলের টব, এসি-ফ্রিজ, পরিত্যক্ত বালতি বা পাত্র ইত্যাদির জমে থাকা পানি এডিস মশার বিচরণ ক্ষেত্র। এছাড়া মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো থেকে শুরু করে মশা তাড়ানোর অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা নাগরিকদের দায়িত্ব।
নাগরিকদের সচেতন করার কেউ নেই কেন? হাসপাতালে যখন আক্রান্ত ব্যক্তির ভীড় আর মৃত্যুতে আহাজারি তখন যেন সবার টনক নড়েছে। বর্ষাকালের শুরুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, মিডিয়া কাউকে প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা যায়নি।
ধর্ম মন্ত্রণালয়েরও উচিত মসজিদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় থেকে ডেঙ্গু ও এডিস মশা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। সরকার ডিজিটাল দেশ গড়ার কথা বলে। অনলাইনে সরকারের প্রচারণা চেখে পড়েনি। যা হচ্ছে সব ভয়াবহতার পরে দৃশ্যমান হচ্ছে।