অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে মেজাজ হারিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে। এটা বাস, ট্রাক, মাইক্রো, কার বা রিকশা সব ধরণের গাড়ির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বাংলাদেশে এই চিত্র অত্যন্ত সাধারণ হয়ে উঠেছে।
যাত্রী উঠানো প্রতিযোগিতা বা আগে যাওয়ার পাল্লাপাল্লি এই মেজাজ হারানোরই ফল। পাল্লাপাল্লির সময় কেউ ওভারটেক করতে চাইলে অন্যজন তা করতে দিতে চায় না। প্রতিযোগিতার ফলে সৃষ্ট হয় দুর্ঘটনা।
যাত্রী নেয়ার জন্য মোড়ে মোড়ে ঢিলেমি করতে থাকা অনেক বাস ড্রাইভারের স্বভাব। এসময় পেছন থেকে যাত্রীরা চেঁচিয়ে উঠেন। তর্কাতর্কির পর ড্রাইভার এমন জোরে গাড়ি চালাতে শুরু করেন যে দুর্ঘটনা ঘটা অবধারিত হয়ে পড়ে।
সড়ক দুর্ঘটনার অনুসন্ধান করতে গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো উঠে আসে। এছাড়া পরিবহনে নারী হয়রানি ও শ্লীলতাহানির ঘটনাও বাড়ছে। এসব থেকে পরিত্রাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নড়েচড়ে বসার দরকার আছে।
এই সমাজের নানা শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ চোখে পড়ে। যেমন শিক্ষার্থীদের পাঠ্য অভ্যাস বৃদ্ধি করতে কাজ করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। অনেক এনজিও আছে যারা কৃষকসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষদের নিয়ে কাজ করে।
এছাড়া ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ প্রায় সকল পেশার মানুষেরা পেয়ে থাকে। সরকারী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে খেলার মাঠের খেলোয়াড়রা পর্যন্ত। কিন্তু পরিবহন শ্রমিকরা কোন উদ্যোগের অংশ নন। চালানো শেখার পর তাদের জন্য আর কোন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি থাকে না।
আমরা অনুভব করি পরিবহন শ্রমিকদের ড্রাইভিং, সেবা প্রদানে সাধারণ সৈজন্য এবং আচরণগত দক্ষতা শেখানোর জন্য কর্মশালা থাকা দরকার। বাসস্ট্যান্ডগুলোতে বড় পর্দায় যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলার ভিডিও দেখানো প্রয়োজন। পথ নাটকও কার্যকর হতে পারে।
প্রশিক্ষণ ও তদারকি ছাড়া কোন সেক্টরেই ভালো সেবা সম্ভব নয়। বাস মালিকদের এদিকে নজর দিতে হবে। পরিবহন শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ ও তদারকিতে বাস মালিক এবং মালিক সমিতি যেন নজর দেয় সেজন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।